হাজী মুহাম্মদ মহসীন ইমামবাড়া (মুড়ালী ইমামবাড়া)

49K views Aug 16, 2023

vromonchari.com

আপনি নিশ্চয় বিখ্যাত দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীনের নাম শুনেছেন, তাইনা? কে না শুনেছে! যদি তাই হয় তবে, হয়ত বিখ্যাত হুগলী ইমামবাড়ার নাম শুনে থাকতে পারেন। বলবেন, ভাই সেটা তো ভারতের হুগলী তে! হ্যা! কিন্তু, বাংলাদেশেই হাজী মুহাম্মদ মহসিনের একটা ইমামবাড়া রয়েছে, তা কি জানা আছে? আমি বাজী ধরে বলতে পারি, ৯০% উত্তর হবে “না”। আর ঠিক একারনেই পোস্টটি ও ভিডিওটি আপনার জন্য😊😉 ইমামবাড়া কি? ইমামবাড়ার শাব্দিক অর্থ ইমামের বাড়ি। তবে প্রকৃত অর্থে ইমামবাড়া হলো শিয়া সম্প্রদায়ের মিলনস্থল। ইমামবাড়া মূলত শিয়া সম্প্রদায়ের ২য় ইমাম হাসান ইবনে আলী (রা.) ও ৩য় ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা.)- এর স্বরনে নির্মিত ভবন। এখানে শিয়া মুসলিমরা মুসলিম রীতিনীতির বিশেষ কোনো ঘটনাবহুল দিবস পালনের উদ্দেশ্যে মিলাদ-মাহফিল ও দোয়া করার জন্য মিলিত হয়ে থাকে। ইমামবাড়া কোনো মসজিদ নয় তবে এখানে নামাজ আদায় হয়ে থাকে। মুড়ালী ইমামবাড়ার গোড়াপত্তন, বর্তমান অবস্থা ও যা যা দেখার আছেঃ মুড়ালী ইমামবাড়াটি স্থাপন করেন হাজী মোহাম্মদ মহসীনের সৎবোন মন্নুজান বেগম। অগাধ সম্পদের অধিকারী মন্নুজান বেগমও ছিলেন একজন ধর্মপ্রান শিয়া মুসলিম। তিনি এই অঞ্চলের সম্পত্তি তার পিতা আগা মোতাহারে উত্তরাধীকার সূত্রে পেয়েছিলেন। ১৮০২ সালে মন্নুজান এই ইমামবাড়াটি তৈরি করেন এবং ১৮০৩ সালে মৃত্যুর পূর্বে ইমামবাড়াসহ সব সম্পত্তি হাজী মোহাম্মদ মহসীনকে দিয়ে যান। যশোরে অবস্থিত মুড়ালীর এই ইমামবাড়াটি ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ন অধিদপ্তরের অধিভুক্ত হয় এবং তা সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসাবে ঘোষিত হয়। তিনটি সারিতে বিভক্ত দশটি পাদস্তম্ভের উপর ভর করে দাড়িয়ে থাকা মুড়ালী ইমামবাড়াটির মোট আয়টন উত্তর ও দক্ষিণে ১৮.২৯ মিটার এবং পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১৫.২৪ মিটার। হাজী মোহাম্মদ মহসীন ইমামবাড়া কোথায় অবস্থিত? হাজী মোহাম্মদ মহসীন অনেকগুলি ইমামবাড়া স্থাপন করেন। তন্মধ্যে হুগলী ইমামবাড়া সবচেয়ে বড় ও প্রসিদ্ধ এবং এখানে তার সমাধী রয়েছে। বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে পড়া ইমামবাড়াটির অবস্থান যশোর শহরের মুড়লী নামক স্থানে। অবস্থান অনুসারে এই ইমামবাড়াকে মুড়ালী ইমামবাড়া ডাকা হয়।